1. khageshprati@gmail.com : khageshprati Lama : khageshprati Lama
  2. paharerkonthosor@gmail.com : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর
  3. info@www.paharerkonthosor.com : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর :
মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
লামায় দখল বাণিজ্যে বাজিমাত করে চলছে আওয়ামী দোসর এক নারী লামায় বড় ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে ছুরিকাঘাতে যুবক খু.ন, আটক ৫ লামায় সংঘবদ্ধ দলের হামলায়  বিদ্যালয় ও বসতবাড়ী লুট, নারীকে বেঁধে শ্লিলতাহানি, বেদড়ক মারধরে প্রধান শিক্ষকসহ আহত ৫জন এসএসসিতে বান্দরবান জেলার ৫০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে সেরা হলো লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল, জিপিএ-৫ পায় ১৬ জন এবারও এসএসসিতে শতভাগ পাশ কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের শিক্ষার্থীরা লামায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পর্যটনের রিসোর্ট গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বন্ধ ঘোষণা লামায় আইনজীবির বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবিতে লামায় কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি আলীকদমে শামুক ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ তিন পর্যটকের মধ্যে দুই পর্যটকের উলঙ্গ অবস্থায় লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ আছে মোঃ হাসান চৌধুরী শুভ লামায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল লামা সদর ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন

আইনগত হস্তক্ষেপ কামনা করেও সুরাহা না পাওয়ায় লুটেরা-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিকারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, চকরিয়া ও লামা কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী মমতাজুল ইসলাম

পাহাড়ের কণ্ঠস্বর
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

 

লামা(বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের লামা উপজেলা ফাইতং ইউনিয়নে বাগান বাড়ি ভাঙচুর, মুল্যবান বৃক্ষরাজি লুটতরাজ ও ভূমি জবর দখলের পায়তারা রোধে আইনগত হস্তক্ষেপ কামনা করেও সুরাহা না পাওয়ায়, লুটেরা-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিকারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, চকরিয়া ও লামা কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী মমতাজুল ইসলাম।

১৯ জানুয়ারি রোববার বিকেল তিনটায় পৌর শহরের হোটেল কুটুম বাড়ির ২য় তলায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এডভোকেট মমতাজুল ইসলাম বলেন, লামা উপজেলা ফাইতং ইউনিয়ন সালামা পাড়া, ৭নং ওয়ার্ডে একটি ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী চক্র তার বাগান বাড়ি ভাঙছু, লুটতরাজ ও বাগানের গাছগাছালি কেটে নিয়ে যায়।
এসব বিষয়ে তিনি গত ১৫ জানুয়ারি লামা কোর্টে ১১জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গন্য করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য নির্দেশ দেন।
এজাহারে আসামী করা হয়; ১। জালাল উদ্দিন প্রকাশ বাদশা (৪০), পিতা- মৃত আব্দুল নবী, ২। হেলাল উদ্দিন (৩৫), পিতা- মৃত আব্দুল নবী, উভৎসাং- মগনামা পাড়া, ৭ নং ওয়ার্ড, ফাইতং ইউনিয়ন, ৩। বদিউল আলম (৫০), পিতা- জাফর আলম, ৪। মনোয়ারা বেগম (৪৫), স্বামী- বদিউল আলম ,বর্তমান সাং- মগনামা পাড়া, ৭ নং ওয়ার্ড, ফাইতং ইউনিয়ন,স্থায়ী সাং- লম্বা ডিগি, কৈয়ারবিল, চকরিয়া, কক্সবাজার। ৫। জসিম উদ্দিন (৩০), পিতা- আবু তাহের, ৬। কুলছুমা বেগম (২৫), স্বামী- জসিম উদ্দিন, উভৎসাং- মগনামা পাড়া, ৭ নং ওয়ার্ড, ফাইতং ইউনিয়ন, ৭। লোকমান (৪০), পিতা- আহম্মদ কবির, সাং- পূর্ব বাইন্ন্যার কুম, জহির পাড়া, লইক্যার চর ইউনিয়ন, চকরিয়া, কক্সবাজার। ৮। জাকের হোসেন (৫৫), পিতা- মোজাম্মেল হক, সাং- সুতাবাদী, ৫ নং ওয়ার্ড, ফাইতং ইউনিয়ন, ৯। আব্দু শুকুর (৩০), পিতা- দিল মোহাম্মদ, ১০। করিম দাত (৭০), পিতা- মৃত নুর আহাম্মদ, ১১। জিয়াবুল হক (৪০), পিতা- করিম দাত, সাং- হিমছড়ি পাড়া, ৩ নং ওয়ার্ড, ফাইতং ইউনিয়ন, উপজেলা/থানা- লামা, জেলা- বান্দরবান পার্বত্য জেলা সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন লোক।

উল্লেখিত লোকেরা ত্রাস সৃষ্টি করে, আইনজীবীর সৃজিত বাগানে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি/ দু’দিন ধরে গাছ চুরি করে। এই ব্যাপারে ১৫ জানুয়ারি এই আইনজীবী লামা কোর্টে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এর ৪ (১)ক/৭/১৬/২০ ধারা তৎসহ ১৪৩/ ৪৪৭/ ৩৭৯/ ৪২৭/ ৫০৬ (২)/ ৩৪ দ.বি এ ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে প্রকাশ, ৩০৬ নং ফাইতং মৌজার আর/২৩৪০ নং হোল্ডিংয়ের আন্দর ৫.০০ (পাঁচ) একর ৩য় শ্রেনীর জায়গা আলী আহাং ১৯৮২/৮৩ ইং সনের ৫৪০৭ নং বন্দোবস্তি মোকদ্দমা মূলে সরকারের নিকট থেকে বন্দোবন্তি প্রাপ্ত হন। আলী আহাং ইতিপূর্বে উল্লেখিত জায়গা থেকে ৮ কানি জায়গা বিভিন্ন জনকে বিক্রয় করেছিলেন। আলী আহাং আমার আত্মীয় হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তাহার নামীয় অবশিষ্ট বাদবাকি ১.৮০ (এক একর আশি শতক) জায়গা ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে খামার বাড়ি, মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ সহ ফলজ ও বনজ গাছের বাগান সৃজন করতঃ দীর্ঘদিন ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভোগ দখলে রয়েছে এই আইনজীবী। ক্রয়কৃত দখলীয় ওই জায়গায় আসামীদের কোন স্বত্ব-স্বার্থ কিছু নেই। কিন্তু আসামীগণ ওই  জায়গা দখল করার জন্য গাছপালা কেঁটে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এডভোকেট মমতাজুল ইসলামের জায়গা ২০০ টি বেলজিয়াম গাছ, ১৫ টি আম গাছ, ১০ টি কাঁটাল গাছ কেঁটে চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি করে নেয়া এসব গাছেন মূল্য দেড় লাখ টাকা বলে জানাযায়। গাছ কাঁটার সময় বাগানে স্থীত ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের ফলজ ও বনজ গাছের চারা কেঁটে নষ্ট করে ফেলে আরো পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেন। খবর পেয়ে জায়গার মালিক এডভোকেট মমতাজুল ইসলাম বিষয়টি ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে জানান। এর পর ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামীদেরকে গাছ কাটতে ও গাড়িতে গাছ বোঝাই করে নিয়ে যেতে দেখে বাধা দেয়। ওই সময় উপস্থিত পুলিশও কর্তনকৃত গাছগুলো আসামীদেরকে নিয়ে যেতে নিষেধ করে এবং নতুন করে গাছ কর্তন করতে বারণ করেন। আসামীরাও গাছ না কাটার মৌখিক অঙ্গিকার দেয়। কিন্তু পরক্ষণে সন্ত্রাসীরা গাছগুলো নিয়ে যায়। আসামীগণ এখনো গাছ কাঁটা অব্যহত রেখেছে এবং ওই জায়গায় গেলে আমাকে ও আমার কর্মচারীদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে মর্মে হুমকি প্রদান করতেছেন। আসামীগণ জায়গা নিজেরা ভূমি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনী ভাবে মালিক হিসেবে প্রচার করতে থাকে।’ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রবীন এই আইনজীবি দু:খ প্রকাম করে বলেন, ‘আমি আইনের আশ্রয় নেয়ার পর আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে গড়িমসি করার কারণে, আসামীরা আমার বাগান বাড়িটি লুটতরাজ ও ভাঙ্ছুর করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। বর্তমানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে আইনজীবীর অন্যান্য বাগানেও গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে এজাহারে উল্লেখিত আসামীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিতঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।