এর থেকেই অনুমান করাযায় শ্রমিক মৌমাছিরা কি পরিমান পরিশ্রমী। অপরদিকে রানী মৌমাছির কাজ শুধু সন্তান প্রসব করা। রানী মৌমাছি প্রতিবার প্রায় ১৫’শ থেকে আড়াই হাজারটি মৌমাছির জন্ম দেয়। পুরুষ মৌমাছি কোন কাজ করে না। এমনকি শ্রমিক মৌমাছিরা তাদের মুখে খাবার তুলে দেয়। পুরুষ মৌমাছির একমাত্র কাজ রাণী মৌমাছির সঙ্গে মিলিত হওয়া।
মিলন মৌসুমে প্রতিদিন দুপুর বেলা চাকের সক্ষম পুরুষ মৌমাছিরা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ভিড় জমায়। যাকে বলা হয় “ধর্মসভা।” ঠিক সেই সময় রানী মৌমাছি চাক থেকে বাইরে আসে। যাকে বলা হয় “দি মিটিং ফ্লাইট।” উড়তে উড়তে রানী মৌমাছি ঢুকে পড়ে সেই পুরুষ ধর্মসভায়। ধর্ম সভায় ঢুকে রানী মৌমাছি এক বিশেষ ধরনের গন্ধ ছড়িয়ে দেয়। এতে পুরুষ মৌমাছিরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তারপরেই রানী মৌমাছি উড়ন্ত অবস্থায় তার পছন্দমত পুরুষ মৌমাছির সঙ্গে মিলত হয়। রানী মৌমাছি ১৮ থেকে কুড়িটা পুরুষ মৌমাছির সঙ্গে মিলিত হতে পারে।
অদ্ভুত ব্যাপার হলো যৌন মিলনের সময় পুরুষ মৌমাছির এন্ডোফেরাস বা যৌনাঙ্গ ভেঙে যায়। ফলে পুরুষ মৌমাছিটি মারা যায়। এই কারণে এই মিলনকে বলা হয় “দি ড্রামাটিক সেক্সচুয়াল সুইসাই।”
একটি মৌচাকে একটিমাত্র রানী বা স্ত্রী মৌমাছি থাকে। রানী মৌমাছিকে কেন্দ্র করেই মৌচাক গড়ে ওঠে। যদি কোখনো স্ত্রী মৌমাছির জন্ম হয়, তাহলে সেই শিশু স্ত্রী
মৌমাছিটিকে কর্মী মৌমাছিরা লুকিয়ে রাখে। কারণ, রানী মৌমাছি দেখতে পেলে শিশু মৌমাছিটির মৃত্যু নিশ্চিত। শিশু স্ত্রী মৌমাছিটি বড় হলে দুই রানী মৌমাছির মধ্যে যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধে একজনের মৃত্যু হয় না হয় দুজনে আলাদা দুটি মৌচাক গড়ে তোলে।
কিছু অদ্ভুত বিষয়:
৫০০ গ্রাম মধু তৈরিতে কুড়ি লক্ষ্য ফুলের প্রয়োজন হয়। একটি শ্রমিক মৌমাছি সারা জীবনে আধ চামচ মধু জমাতে পারে। আরেকটি অদ্ভুত বিষয় হলো পৃথিবীতে মাধু’ই একমাত্র খাদ্য যা কখনোই পচেনা।
এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন