||এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন, বান্দরবান||
মারাইংতং পাহাড়ে ভূমি ভূমিদস্যু উঃ উইচারা ভান্তে ও হেডম্যান মংক্যনু মার্মার কর্তৃক লামার সাঙৃগু মৌজার বসবাসরত ম্রো জনগোষ্ঠীর জুম চাষের ভূমি জবর দখল ও অবৈধ ভাবে রিসোর্ট নির্মাণের প্রতিবাদে বান্দরবানের লামা উপজেলায় মানববন্ধন করেছে লামা উপজেলার ২৮৫নং সাংগু মৌজার স্থানীয় বাসিন্দারা।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) লামা উপজেলা পরিষদের সম্মুখে সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংগু মৌজাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- লামা উপজেলার সাংগু মৌজা হেডম্যান চামপাত ম্রো, বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনে’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তনয়া ম্রো ও সদস্য কাইনপ্রে ম্রো, স্থানীয় মুক্তারাম ত্রিপুরা কারবারী, ফলে ম্রো, পাক ম্রো ও সাকতাই ম্রো প্রমুখ।
মানববন্ধন থেকে ম্রো’রা ‘ধর্মের নামে ম্রোদের ভূমি দখল বন্ধ করো, করতে হবে’, ‘মংক্যনু মার্মা হেডম্যান হয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ও মারাইতং পাহাড় নিয়ে মিথ্যাচার কেন?’ উঃ উইচারা ভিক্ষু গং রিসোর্ট করলে ধর্মের অবমাননা হয়না কেন?’ ‘মারাইতং ধর্মজাদী পরিচালনা কমিটি সীমানা নির্ধারণে এত ভয় কিসের?’ এমন শ্লোগান সম্বলিত প্লে-কার্ড হাতে শত শত স্রো সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, লামা উপজেলার ২৮৫নং সাংগু মৌজার ম্রো সম্প্রদায়ের জুমের ভূমি উঃ উইচারা ভিক্ষু ও তৈন মৌজা হেডম্যান মংক্যনু মার্মার নেতৃত্বে ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে মারাইতং পাহাড়ে বে-আইনীভাবে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ১৯৯২ সালে তৈন মৌজায় ৫ একর ও সাংগু মৌজায় ৫ একর মোট ১০ একর জমি মারাইংতং পাহাড়ের বৌদ্ধ জাদী নির্মাণের জন্য বন্দোবস্তি দেওয়া হয়। তখন একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় জদি নির্মাণ করা হয়। আমরাও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, আমরা এর বিরোধী না, ভান্তের বিরুদ্ধেও না। কিন্তু এখানে ধর্মের নামে, ধর্মকে পুঁজি করে ম্রো জনসাধারণের ভূমি নিয়ে যারা ছিনিমিন খেলে, তাদের বিরোধী আমরা। উঃ উইচারা ভিক্ষু ও তৈন হেডম্যান মংক্যনু মার্মাসহ একটি চক্র ধর্মকে ব্যবহার করে ম্রো জনগোষ্ঠির জুম ভূমি জবর দখলের চেষ্টা করে রিসোর্ট নির্মাণের পায়তারা করছেন।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর (রোববার) লামা ও আলীকদম উপজেলার দুই নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় দুই উপজেলা প্রশাসনের যৌথ সিদ্ধান্তে দুই উপজেলার সীমানা বিরোধ চিহ্নিত ও বিহারের (বৌদ্ধ জাদী) ১০ একর ভূমি পরিমাণ করে বুঝিয়ে দিতে গত ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার বিরোধীয় ভূমি পরিমাপ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় তৈন মৌজা হেডম্যানও এতে সম্মতি প্রদান করেন। কিন্তু উঃ উইচারা ভান্তে ও মংক্যনু মার্মা চক্রটি সাংগু মৌজাস্থ ম্রোদের ভূমি জবর দখল অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে ভূমি পরিমাপের দিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিমাপের কাজ বানচাল করেন। সকল বক্তারা দাবী করেন, দেশের প্রচলিত নিয়মে পাহাড়ী জমি সীমানা চিহ্নিত নিয়ম অনুসারে লামা ও আলীকদম উপজেলার সীমানা চিহ্নিত করতে হবে। মারাইংতং পাহাড়ের পানিধরা চিহ্নিত করে সীমানা চিহ্নিত করে সীমানা চিহ্নিত করতে হবে লা ও আলীকদম উপজেলার সিমানা। আমরা প্রশাসনের কাছে লামার সাংগু মৌজার নিরীহ ম্রো জুম চাষিদের ভূমি ভূমিদস্যু উঃ উইচারা ভান্তে ও হেডম্যান মংক্যনু মার্মার কাছ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া জোর দাবী জানাচ্ছি।।