এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন, লামাঃ
লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের মালুম্যা, বগাইছড়ি এলাকায় খালের পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে এক ব্যক্তিকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট রুবায়েত আহমেদ।
নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্টের আশঙ্কাজনক স্থান থেকে মাটি কাটার অভিযোগে 'বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০'-এর ১৫ ধারা মোতাবেক এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
সোমবার (৩ নভেম্বর, ২০২৫) বেলা আনুমানিক ১:৩০ মিনিটে লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবায়েত আহমেদ-এর নেতৃত্বে এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে মালুম্যা, বগাইছড়ি এলাকায় খাল পাড় সংলগ্ন স্থান থেকে মাটি কাটতে দেখা যায় একটি সবুজ রঙের মিতসুবিশি এক্সক্যাভেটর (মাটি খননযন্ত্র)। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মোঃ কামাল উদ্দিন নামক এক ব্যক্তি।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি এক্সক্যাভেটর ব্যবহার করে নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে মাটি কেটে আসছিলেন।
এই ধরণের অবৈধ মাটি কর্তন নদী তীর ভাঙনসহ পরিবেশের উপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলে।আইনের ১৫ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড অভিযুক্ত মোঃ কামাল উদ্দিনকে তাৎক্ষণিকভাবে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ১৫ ধারা লঙ্ঘন করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
এ ধারার বিধান অনুযায়ী, ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তাকে ১৫ (পনের) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত আহমেদ জানান, অবৈধভাবে বালু বা মাটি উত্তোলন বা পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
'বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০'-এর ১৫ ধারা অনুযায়ী অবৈধভাবে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিধান লঙ্ঘনের জন্য অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বছর কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা থেকে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।