এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন, লামাঃ
বান্দরবানের লামা উপজেলার লামা বাজারে বৃহস্প্রতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় এক কাপড়ের দোকানের তালা ভেঙ্গে মালামাল লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দোকানের মালিক আব্দুল মাবুদ বাদী হয়ে প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকার মালামাল ও নগদ অর্থ লুট এবং হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে লামা থানায় অভিযোগ দায়ের পর সংবাদ সম্মেলন করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর২০২৫ ) দুপুর ২ ঘটিকার সময় লামা সাংবাদিক ফোরাম অফিসে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুল মাবুদ সওদাগর এই সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে ব্যবসায়ী আব্দুল মাবুদ সওদাগর (৫৫) জানান, ১৩/১১/২০২৫ ইং তারিখ, রাত আনুমানিক ১২.৩০ ঘটিকার সময় আসামীগণ পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অপরাধ সাধনকল্পে রাতের আঁধারে লামা বাজারস্থ তাঁর মালিকানাধীন “আবদুল মাবুদ ক্লথ ষ্টোর” এর ৭, ৭/এ এবং ৯নং স্টল বা দোকানের তালা ভেঙ্গে অনধিকার প্রবেশ করে কাপড় ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আলমগীরগংরা। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মাবুদ অভিযোগ করেন, ডাকাত, সন্ত্রাসী ও উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির এ আসামীগণরা এ সময় দোকান থেকে আনুমানিক ৩৪ লাখ টাকার মালামাল (যেমন- শাড়ী, থ্রি-পিচ, থান কাপড়, লুঙ্গি, বিয়ের শাড়ী, কম্বল, শাটিং-শুটিং কাপড় ইত্যাদি) এবং নগদ ৬০ হাজার টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানান, জনৈক মো: শফি নামক একজন ব্যক্তি আসামীগণকে দেখতে পেয়ে মুঠোফোনে তাঁকে ঘটনার বিষয়ে অবগত করেন। ঘটনার পর তিনি আসামীগণের সঙ্গে কথা বললে, আসামীগণ তাঁকে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে মর্মে মারাত্মক প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করেন।অভিযোগকারী আরও জানান, ঘটনার খবর পেয়ে মো: শফি, সাংবাদিক আবুল হোসেন ও লামা থানার দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। প্রাণনাশের আশঙ্কায় সামান্য বিলম্বে হলেও তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লামা থানায় এজাহার দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন।
লামা থানায় জমা দেওয়া এজাহারে আব্দুল মাবুদ(পিতা- মৃত সাছি মিয়া) সওদাগর মোট ৬ জন আসামীর না উল্ল্যেখ করে এবং আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামীকে অভিযুক্ত করেছেন। এজাহারে যাদের আসামী করা হলো- ১। মোঃ কামাল উদ্দিন (৫৫), পিতা- মৃত ইছহাক সওদাগর।২। মোঃ মিজান (৩২), পিতা- মৃত সিদ্দিক আহমদ।৩। সোহান (২৫), পিতা- অজ্ঞাত।৪। লোকমান (৪৫), পিতা- মৃত বাছা মিয়া।৫। নুরুল আমিন (৫০), পিতা- মৃত আহমেদ উল্লাহ (সর্বসাং- ২নং ওয়ার্ড, লামা পৌরসভা)।
৬। আব্বাস মিয়া (৫২), পিতা- বুজুরুস মিয়া (সাং- মগবাজার, চকরিয়া পৌরসভা, কক্সবাজার)।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বাদী আব্দুল মাবুদ অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার এবং জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপার লামা থানার অফিসার ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল মাবুদ তার দোকান লুটের ঘটনায় অভিযোগ জমা দিয়েছে। মামলার প্রস্ততি চলছে।