1. khageshprati@gmail.com : khageshprati Lama : khageshprati Lama
  2. paharerkonthosor@gmail.com : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর
  3. info@www.paharerkonthosor.com : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর :
মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
লামায় দখল বাণিজ্যে বাজিমাত করে চলছে আওয়ামী দোসর এক নারী লামায় বড় ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে ছুরিকাঘাতে যুবক খু.ন, আটক ৫ লামায় সংঘবদ্ধ দলের হামলায়  বিদ্যালয় ও বসতবাড়ী লুট, নারীকে বেঁধে শ্লিলতাহানি, বেদড়ক মারধরে প্রধান শিক্ষকসহ আহত ৫জন এসএসসিতে বান্দরবান জেলার ৫০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে সেরা হলো লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল, জিপিএ-৫ পায় ১৬ জন এবারও এসএসসিতে শতভাগ পাশ কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের শিক্ষার্থীরা লামায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পর্যটনের রিসোর্ট গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বন্ধ ঘোষণা লামায় আইনজীবির বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবিতে লামায় কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি আলীকদমে শামুক ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ তিন পর্যটকের মধ্যে দুই পর্যটকের উলঙ্গ অবস্থায় লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ আছে মোঃ হাসান চৌধুরী শুভ লামায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল লামা সদর ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন

গিজার মরুভূমির ফারাও খুফুর নৌকা

পাহাড়ের কণ্ঠস্বর
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে
গিজার মরুভূমির ফারাও খুফুর নৌকা

এটি হলো খুফুর নৌকা। ১৯৫৪ সালের ২৪ এপ্রিল গিজার মরুভূমির দক্ষিণ দিকে ফারাও খুফুর পিরামিডের পাশেই কাজ করছিলেন আরকিয়োলজিস্ট মোহাম্মদ জাকি আর তার সহকারী গারাস ইয়ানি। ইতিমধ্যে ঘটে যাওয়া এক্সকাভিশনগুলির কারণে তৈরি হওয়া আবর্জনা সরাছিলেন তারা। কিন্তু এইসব ছাইপাশ ঘাটতে ঘাটতেই তাদের হাতে চলে এলো এক অমূল্য রত্ন। সেখানে তারা খুঁজে পেলেন অনেকগুলো বিশাল আয়তকার চুনাপাথরের টুকরো। পাশাপাশি একে অপরের গায়ে লাগানো টুকরো গুলো দেখেই মনে হচ্ছিল মাটির নিচে কোনো গোপন কক্ষের উপর ঢাকনার কাজ করছে ওগুলো।
২৫শে মে ১৯৫৪ সালে সেই ঢাকনা সরিয়ে ভেতরে ঢোকার দিন স্থির হল। তবে ওই দিনই মোহাম্মদ জাকির জীবনে নেমে এলো অন্ধকার। তার ছোট্ট মেয়েটি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হল। অবশেষে সে মারা গেল। জাকি আর এই কাজে ফিরলেন না।
এরপর গারাস ইয়ানি তার সঙ্গী কামাল ইয়ানির সঙ্গে মিলে সেই পাথরের ছাই উপর থেকে ভেঙে ফেললেন। কিছুদিনের মধ্যেই সেই গর্ত থেকে আবিষ্কার হল ১২২৪টা সিডার কাঠের টুকরো।
তবে প্রাথমিকভাবে বোঝা গেল না এই কাঠের টুকরো গুলি ঠিক কি কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল?

সেই রহস্য উদ্ঘাটনার জন্য ডাক পরল আহমেদ ইউসুফ নামের মিশরীয় আরকিটেক্ট’এর। লোকটা প্রাচীন ধ্বংসস্তূপ থেকে খুঁজে পাওয়া পৃথক হয়ে যাওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্রকে একত্র করে তার রুপ দেওয়ার ক্ষেত্রে এক এবং অদ্বিতীয়। এরপর প্রায় ছ-মাস ধরে প্রচেষ্টার পর আহমেদ ইউসুফ এই ১২২৪টা আলাদা আলাদা সিডার কাঠের টুকরোকে জোড়া লাগিয়ে তৈরি করলেন এক নৌকা। কাঠের কার্বন ডেটিং করে জানা গেল এই নৌকা চলাচলের সময়কাল।
একে তো খুফুর পিরামিডের পাশে খুঁজে পাওয়া কাঠের টুকরো, তার ওপর সময়কালও হুবহু মিলে গেল ফারাও খুফুর রাজত্বকালের সময়ের সঙ্গে।সবশেষে একটি কাঠের টুকরোর গায়ে খুঁজে পাওয়া গেল হাইরোগ্লিক হরফে লেখা ফারাও খুফুর নাম। অতএব একে একে দুই করে প্রত্নতাত্ত্বিকরা নিশ্চিত হলেন, এই নৌকা হল ফারাও খুফুর নৌকা।
তবে খুব সম্ভবত ফারাও ফুফু কখনো এই নৌকা চড়েননি। আসলে এই নৌকা তার মৃত পিতাকে উৎসর্গ করেছিলেন খুফুর পুত্র জেদেফ্রে। শেষ অবধি এমন ধারণাই দিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এই ধারণার পেছনে রয়েছে প্রাচীন মিশরের এক আশ্চর্য ধর্মীয় প্রথা…

[এস.কে খগেশপ্রতি চন্দ্র খোকন]

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিতঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।