1. khageshprati@gmail.com : khageshprati Lama : khageshprati Lama
  2. paharerkonthosor@gmail.com : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর
  3. info@www.paharerkonthosor.com : পাহাড়ের কণ্ঠস্বর :
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
লামায় দখল বাণিজ্যে বাজিমাত করে চলছে আওয়ামী দোসর এক নারী লামায় বড় ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে ছুরিকাঘাতে যুবক খু.ন, আটক ৫ লামায় সংঘবদ্ধ দলের হামলায়  বিদ্যালয় ও বসতবাড়ী লুট, নারীকে বেঁধে শ্লিলতাহানি, বেদড়ক মারধরে প্রধান শিক্ষকসহ আহত ৫জন এসএসসিতে বান্দরবান জেলার ৫০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে সেরা হলো লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল, জিপিএ-৫ পায় ১৬ জন এবারও এসএসসিতে শতভাগ পাশ কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের শিক্ষার্থীরা লামায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পর্যটনের রিসোর্ট গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বন্ধ ঘোষণা লামায় আইনজীবির বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দফা দাবিতে লামায় কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি আলীকদমে শামুক ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ তিন পর্যটকের মধ্যে দুই পর্যটকের উলঙ্গ অবস্থায় লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ আছে মোঃ হাসান চৌধুরী শুভ লামায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল লামা সদর ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন

লামায় দখল বাণিজ্যে বাজিমাত করে চলছে আওয়ামী দোসর এক নারী

পাহাড়ের কণ্ঠস্বর
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

পাহাড়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক:-

লামা-আলীকদম সড়কের লাইনঝিরি মোড়ে জায়গা জবর দখল চেষ্টা ব্যার্থ হয়ে, একজন বিজিবি সদস্যর বিরুদ্ধে বারংবার মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। লামা পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ড লাইনঝিরির বাসিন্দা জনৈক শাহ আলমের স্ত্রী মামলার বাদী আয়েশা আক্তার নামের ওই নারীর বিরুদ্ধে বিজিবি সদস্যসহ অন্যদের জমি জবর দখল করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, আয়েশা আক্তার ইতিপূর্বে আওয়ামীলীগ ও নারীর ক্ষমতা অপব্যবহার করে প্রতিবেশি নুরুজ্জামানের জমিও দখল করে নেয়। এই নারী ও তার সন্তানদের দখল দাঙ্গা নিয়ে থানা আদালতে মামলাও রয়েছে।
তার পাঁচ ছেলে আওয়ামীলীগের ক্যাডার ছিলো। এক ছেলে উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতির জামাতা। জুলাই/২৪ বিপ্লব পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আয়েশা আক্তার কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর সম্প্রতি আবারো দখলদারিত্বে সরব হয়ে উঠেন। তার এক ছেলে রাজনীতির নতুন পরিচয়ে এখন দাপটে বেড়াচ্ছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, লাইনঝিরি মোড়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়ক রক্ষা দেয়াল (গাইড ওয়াল) ঘেঁষে আনুমানিক দুই শতাংশ জায়গা ভূমির পূর্বতম মালিক মরহুম রুস্তম আলীর ওয়ারিশদেরকে তত্বাবধানে রয়েছে। বিগত শতকের ৮০’র দশকে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল ব্যাটালিয়ন মরহুম রুস্তম আলীর নামীয় হোল্ডিংয়ের জায়গার তিনদিকের অংশে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করেন। তৎসময় রুস্তম আলীসহ লামা-আলীকদম ফাঁসিয়াখালী সড়কের ৪৪ কিলোমিটার রাস্তার জায়গার মালিকরা কোনো ক্ষতিপূরণ পান নাই। পরবর্তী সময় বান্দরবান সওজ কর্তৃপক্ষ সড়কটির দায়িত্বভার নেন। যার ফলে ক্ষতিপূরণ না পাওয়া জায়গার মালিক কিংবা ওয়ারিশরা সড়কের পাশের অংশে বিভিন্ন স্থাপনা করে আছে।

লাইনঝিরির বাসিন্দা মরহুম রুস্তম আলীর ওয়ারিশরাও সেভাবে আছে। কিন্তু পৌনে এক কিলোমিটার দূরে বসবাস করা জবর দখলকারী আয়েশা আক্তার তার আওয়ামী ক্যাডার ছেলেদেরকে নিয়ে বারংবার ওই জায়গাটি জবর দখল করার উদ্দেশ্যে মরহুম রুস্তম আলীর ওয়ারিশদের উপর হামলা চালায়। এই আয়েশা আক্তার গংয়ের একের পর এক হামলা ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছে বিজিবিতে চাকুরীরত মরহুম রুস্তম আলীর নাতি আনোয়ার। জানাযায়, ২২ জনু লামা বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আয়েশা আক্তার আরো একটি মামলা করে। ওই মামলায় প্রধান আসামী করা হয় বিজিবি সদস্য আনোয়ারকে। আনোয়ার আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য। বাহিনীর সদস্য হওয়ায় সব সময় তাকে জড়িয় বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তার পরিবারকে দুর্বল করার কৌশল হিসেবে নিয়েছে আয়েশা আক্তার।

এর আগে আয়েশা আক্তার লামা উপজেলা নির্বাহী আদালতে একটি পিটিশন মামলা করেছিলো; সেখানেও অন্যদের সাথে আনোয়ারকে আসামী করা হয়। সেই পিটিশন মামলার তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগটি সঠিক নয় বলে উল্লেখ করা হয়।
লামা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর এক প্রতিবেদন সূত্রে প্রকাশ, ‘সরেজমিন তদন্তে ও স্থানীয় ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাদী আয়েশা আক্তারের পিতা ওমর আলীর নামে ৪৯৬ নং হোল্ডিং এর ২৮৪০, ২৮৪১, ২৮৪২, ১৮৪৫, ২৮৪৬, ২৮৪৮ অং, ২৮৩৯ অং, ২৮৫০ অং এর আন্দর ১.৪০ একর ১ম শ্রেনীর জমি রেকর্ডভুক্ত আছে।
অপরপক্ষে বিবাদীগনের পিতা ও পিতামহ রুস্তুম আলীর নামে ২৯৩ নম্বর স্থাগলখাইয়া মৌজার আর/৩১২ নম্বর হোল্ডিং এ ৫.০০ একর ২য় ও ৩য় শ্রেনীর জমি রেকর্ডভূক্ত আছে। বাদী ও বিবাদী উভয়ের মধ্যে লামা চকরিয়া সড়কের উত্তর পাশে এবং ঝিরির দক্ষিণ পাশে ০.১৫ একর জমি নিয়ে বিবাদ চলমান আছে। বাদী উক্ত জমিকে তাহার ৪৯৬ নং হোল্ডিং এর ২৮৪০, ২৮৪১, ২৮৪২, ২৮৪৪, ২৮৪৬, ২৮৪৮ অং, ২৮৩৯ অং, ২৮৫০ নং দাগের অংশ বলে দাবি করেন এবং বিবাদীগণ উক্ত জমিকে তাদের আর/৩১২নং হোল্ডিং এর অংশ বলে দাবি করেন।

সরেজমিন পরিমাপে নালিশী জমিকে বাদীর দাবিকৃত দাগের আন্দরে পাওয়া যায় নাই। নালিশী জমি ৩২৪৩ নং দাগের অংশে আর/৩১২নং হোল্ডিং এর চৌহদ্দির মধ্যে অবস্থান
পাওয়া গেছে। উক্ত হোল্ডিং এর উপর দিয়ে বর্তমানে লামা চকরিয়া সড়ক চলে গাছে।

নালিশী জমি সড়কের পার্শ্বে হওয়ায় সড়ক ও জনপথের রাস্তার জমি বাদ দিয়ে বাদ বাকী অংশ বিবাদীগণের আর/৩১২নং হোল্ডিং এর জমি মর্মে প্রতিয়মান হয়।’

নালিশী জমি বর্তমানে বিবাদীগনের দখলে আছে, বিবাদীগণের পিতামহ জীবিত থাকা
অবস্থায় মোহাম্মদ ইউছুফের কাছে ০৩/১১/২০০৩ ইং তারিখে চুক্তিনাম মূলে ভাড়া প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে ২৬/০৭/২০০৮ ইং তারিখে কাঁচা দলিল মূলে ২ শতক জমি বিক্রয় করেন। যা বর্তমানে মোঃ ইউছুপ(বাদীর ভাইয়ের ছেলে) এর দখলে আছে। স্থানীয় অনেকেই আয়েশা আক্তার ও তার ছেলেদেরকে ভূমি জবর দখলকারী দাঙ্গা ও মামলাবাজ বলে মন্তব্য করেন। বাসিন্দারা জানান, রুস্তম আলীর ওয়ারিশদের জায়গা জবর দখল করার জন্য
বিজিবি সদস্য আনোয়ারকে টার্গেট বানিয়ে ঘায়েল করতে চাচ্ছে আয়েশা আক্তার গং। মরহুম রুস্তম আলীর ছেলে সন্তানাদি, নাতিরাসহ স্বজনরা আয়েশা আক্তারের মিথ্যা মামলা ও তার আওয়ামী ক্যাডার ছেলেদের, হামলা জবর দখল মব থেকে মুক্তির জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর আশু হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিতঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।