কোন ভাবে পাড়ার মধ্যে ধর্ষিতা পরিবারকে হুমকি কিংবা এক ঘরে করা যাবে না। তাদের পাশে পাড়াপাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। এ পরিবার অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্ত। ধর্ষিতা পরিবার বর্তমানে মানসিক ভাবে খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। ৩৬ বীর বান্দরবানের রুমা জোনের জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ আলমগীর হোসেন পাইন্দু হেডম্যান পাড়া বাজার সেডে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মতবিনিময় সভাটি গত ২৭ আগস্ট রোজ বুধবার বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, রুমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সোহওয়ার্দী, পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লামং মার্মা, অগ্রবংশ অনাথালয়ের পরিচালক উঃ নাইন্দিয়া ভিক্ষু, মৌজা হেডম্যান মংচউ মার্মা , পাইন্দু পাড়া কারবারী থোয়াইসা মার্মা, পাইন্দু ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মংছো মার্মা, ২নং ওয়ার্ডের সদস্য গংবাসে মার্মাসহ পাইন্দু হেডম্যান ও আলেচু পাড়ার নারী-পুরুষ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুমা সেনা জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ আলমগীর হোসেন বলেছেন, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি ও তার পরিবারকে সহযোগিতার জন্য পাড়াবাসী থেকে কোনভাবে চাঁদা সংগ্রহ করা যাবে না। এর মধ্যে যারা চাঁদা সংগ্রহ করছেন তারা ভুক্তভোগী বা পরিবারকে সহায়তা না করে উল্টো অপরাধীদের সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
প্রধান অতিথি এ সময় আরো বলেন, ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে পাড়াবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে, তাদের সহযোগিতা করতে। যাতে করে তাদের মনোবল শক্ত হয়ে উঠে। পরে জোন কমান্ডার ধর্ষণের শিকার ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নির্ভয়ে বসবাস করার জন্য বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
এ দিকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকদের ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবং সামাজিক সালিশি বৈঠকে বসা বিচারকদের সহযোগিতা করার জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতে গত ২৪ আগস্ট রাতে পাড়াবাসীর মধ্যে এক বৈঠক করার অভিযোগ উঠেছে। ওই বৈঠকে বাধ্যতামূলক চাঁদা সংগ্রহের বিষয়টি পাড়ার মধ্যে অনেকেই মানতে পারেনি।
মূলত অপরাধীদের বাঁচাতে একটি পক্ষ পাড়াবাসী থেকে চাঁদা সংগ্রহের বিষয়টি বন্ধ করা এবং অসহায় ধর্ষিত পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নিতে রুমা সেনা জোন কমান্ডার পাড়াবাসীর সাথে এই মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত; সম্প্রতি পাইন্দু হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণের ঘটনা সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রুমা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সোহওয়ার্দীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অভিযোক্ত আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি দুইজন আসামী পলাতক রয়েছে।