লামা প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মুসলিমপাড়া গ্রামে সীমানার গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে এক নারীকে নৃশংস হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর সকালে প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪২) গুরুতর আহত হয়। পরে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করার পাশাপাশি শ্লীলতাহানী ঘটায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকাল প্রায় ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেনের ভোগদখলীয় জমির সীমানার একটি বড় গাছ কাটতে যান একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে ইউসুফ, আবু জাফরের ছেলে দর্জি মজিবুর রহমান, মজিবুরের স্ত্রী কোহিনুর বেগম, আব্দুর রশিদের মেয়ে শাহিনুর বেগম এবং হোসেন খাঁর ছেলে আব্দুল কাদের। রহিমা বেগম গাছ কাটতে বাধা দিলে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ইউসুফ, মজিবুর রহমান ও কাদের হাতে থাকা লাঠি, দা-এর কান্ডা ও হাতুড়ি দিয়ে রহিমা বেগমের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালান। তারা রহিমা বেগম কে ঘুষি, লাথি ও থাপ্পড় মারেন এবং পরনের কাপড় টেনে তার শ্লীলতাহানি করেন। এ সময় আব্দুল কাদের রহিমা বেগমের তলপেটে লাথি মেরে গুরুতর জখম এবং হত্যাচেষ্টা চালায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
রহিমা বেগমের ছেলে ওয়াজ কুরুনি চিৎকার করে সাহায্য চাইলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
রাজা মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও বাদশা মিয়ার স্ত্রী কোহিনুর বেগমসহ বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “প্রকাশ্য দিবালোকে একজন নারীকে এভাবে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, “আমার জমির সীমানার গাছ কাটতে এলে আমি বাধা দিই। এতেই তারা আমাকে এভাবে মারধর ও অপমান করেছে। আমি আইনের আশ্রয় নেব। বর্তমানে আমি জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”